অফিসে ঘুমানো নিয়ে কত কাণ্ডই না ঘটে! অফিসে বসে কাজ করছেন, এক ফাঁকে এসে গেল ঝিমুনি। একটু পর পর ঘুম পায়। ঘুমের কারণে আপনি কোন কাজেই মনোযোগ দিতে পারতেছেন না।
তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মক্ষেত্রে একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেন। দক্ষিণ ইউরোপে দুপুরের ঘুম স্বীকৃত। চীনে মধ্যাহ্নভোজের পর কর্মক্ষেত্রের ডেস্ক, পার্কের বেঞ্চ, রেস্তোরাঁ বা ঘাসের ওপর লোকজনকে ঘুমোতে দেখা যায়। জাপানে অফিসে ঘুমে ঢুলুঢুলু করাকে ভালো চোখেই দেখা হয়। এর মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ইঙ্গিত দেন। অফিসে ঘুমের সমস্যার সমাধানে যা করতে হবে:
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। রাতে ঘুম কম হলে তার প্রভাব আমাদের কর্মক্ষেত্রেও পড়ে। আর সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে কাজ করতে কষ্ট হয়। এজন্য ঘুমের নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যেতে হবে এবং একই সময়ে ওঠার অভ্যাস করতে হবে।
শরীর দুর্বল হলে অফিসে ঘুম পেতে পারে। সুস্থ থাকতে নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। অন্য কিছু করতে না চাইলে শুধু হাঁটুন।
সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিট ছেড়ে উঠে গিয়ে সহকর্মীদের খোঁজ নিন। কিছুক্ষণ আড্ডা দিন। ঝিমুনি এসে কাজের ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না।
ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। বেশ কিছুক্ষণের জন্য ঘুম পালাবে।
অফিসে এক কাপ গরম চা বা এক মগ কফি টনিকের কাজ করে। চা-কফি পানে ঘুম তো তাড়াবেই। সেই সঙ্গে আমাদের কাজ করার জন্য করে তোলে আরও চাঙ্গা।
মরুভূমি অঞ্চলের মানুষ শুকনো খেজুর খেয়ে উত্তপ্ত পথে চলার শক্তি পায়। আমরাও এই খেজুর খেয়ে শরীরে দীর্ঘ সময় কাজ করার শক্তি পেতে পারি।
অফিসে কর্মচঞ্চল থাকতে ওপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গুছিয়ে সময় মতো নিজের কাজ সম্পন্ন করুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।